ভারতের উত্তর প্রদেশ সরকার সম্প্রতি মসজিদ, মাদরাসা ও ঈদগাহসহ ৩৫০টিরও বেশি ধর্মীয় স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজ্যের নেপাল সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫০টির বেশি মাদরাসা, মসজিদ, মাজার এবং ঈদগাহ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মহারাজগঞ্জ, সিদ্ধার্থনগর, বালরামপুর, শ্রাবস্তী, বহরাইচ, লখিমপুর খেরি এবং পিলিভীত- এই সাত জেলায় অভিযান চালানো হচ্ছে। বুধবার একদিনেই মহারাজগঞ্জে দুটি, শ্রাবস্তী ও বহরাইচে একটি করে স্থাপনা ভাঙা হয়েছে।
মহারাজগঞ্জ জেলার ফারেন্ডা তহসিলের সেমরাহানি গ্রাম এবং নৌতনওয়া তহসিলের জুগৌলি গ্রামে নির্মিত দুটি তথাকথিত অবৈধ মাদরাসা ভেঙে ফেলা হয়। শ্রাবস্তীর ভিঙ্গা তহসিলের কালীমপুরওয়াতে সরকারি জমিতে নির্মিত একটি ‘অনুমতিহীন’ মাদরাসাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, বহরাইচে বন বিভাগের জমিতে একটি মাজার অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল অভিযোগ তুলে সেটিও উচ্ছেদ করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব ‘অবৈধ’ স্থাপনা ভারত-নেপাল সীমান্তের ১০ কিলোমিটার ভেতরে গড়ে তোলা হয়েছিল। সরকারি জমি, বনভূমি কিংবা অন্যান্য জনসম্পত্তি দখল করে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা ধর্মীয় রূপ পেলেও, আইন মেনে গড়ে তোলা হয়নি বলে উল্লেখ করেছে প্রশাসন।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সুস্পষ্ট নির্দেশ দেন, ধর্মীয় স্থাপনার নামে কোনো দখলদারি বরদাস্ত করা হবে না। এই নির্দেশনার ভিত্তিতে পিলভীত, শ্রাবস্তী, বালরামপুর, বাহরাইচ, সিদ্ধার্থনগর এবং মহারাজগঞ্জ জেলার প্রশাসন ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে।
এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে স্থানীয় পুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং ভূমি পরিদর্শন দপ্তর। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের পেছনে কারা জড়িত, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
খুলনা গেজেট/এনএম/এএজে